ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা বন্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রভাবশালী এ গণমাধ্যমটি বলছে, জাকারবার্গ কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে টিকটক হঠাতে ‘সক্রিয় লবিংয়ে’ নামেন।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘হোয়াইট হাউজে এক ডিনারের সময় জাকারবার্গ টিকটকের জনপ্রিয়তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে সে বিষয়ে মতামত দেন। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে আনেন তিনি।’
গত বছরের ওই মিটিংয়ে জাকারবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনকে বলেন, ‘চীনে যদি মার্কিন কোম্পানি ব্যবসা করতে না পারে, তাহলে তারা কেন এখানে করবে!’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত আরও কয়েক জন এমপির সঙ্গে কথা বলে ফেসবুক। তাদেরও একইভাবে প্রভাবিত করা হয়।
টিকটক নিষিদ্ধের কথা ট্রাম্প কয়েক বছর ধরেই বলে আসছেন। তার শঙ্কা, চীন সরকারকে আমেরিকার তথ্য সরবরাহ করে অ্যাপটি।
এমন আলোচনার ভেতর সম্প্রতি টিকটকের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। আদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সেপ্টেম্বরের ভেতর চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সকে তাদের টিকটক অ্যাপের ইউএস ভার্সন হয় বিক্রি করতে হবে, না হয় ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করেন।
এরপর জানা যায়, মাইক্রোসফট অ্যাপটি কিনে নেয়ার চেষ্টা করছে। মাইক্রোসফটকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ছোট ভিডিও বানানোর এই অ্যাপ অধিগ্রহণ করার আগে কোম্পানিটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখবে।
নিজেদের ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট গত সপ্তাহে লিখেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য টিকটক অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হতে পারে তার একটা তালিকা সরকারের কাছে দেয়া হবে।
মাইক্রোসফটের আশা, টিকটকের মালিকানাধীন কোম্পানি বাইটড্যান্সের সঙ্গে তারা ১৫ সেপ্টেম্বরের ভেতর আলোচনা শেষ করতে পারবে।